মিছবাহ উদ্দীন আরজু, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার (৩০) নামের এক যুবক গত ২২ই মে ২০১৮ইং সালে এফিডেভিট মুলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। বর্তমানে তার নাম তারিফ হাসান। তিনি হোয়ানক ইউপিস্থ "হোয়ানক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম-প্রহরী পদে চাকরিরত ছিলেন।
তারিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ৩-৪ মাস চাকুরী করে ছিলাম, পরবর্তীতে আমাকে আমার পরিবারের লোকজন ও ভাড়াটে লোকজন মিলে ৫১দিন আটকে রাখে, আমি নিখোঁজ থাকা অবস্থায় উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয়ের সভাপতি নিপন্দ্র দে আমার নামে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে অনুপস্থিতি ও অভিযোগের কারণে আমার চাকুরী স্থগিত করে রাখে। যদি ও আমাকে কোনো রকম কারণ দর্শানো নোটিশ এবং স্থগিতাদেশর চিঠি প্রদান করেনি উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহনের বিজ্ঞপ্তিঃ পত্রিকায় তারিফ জানান, ৫১ দিন পর সে স্কুলে ফিরে এসে এক মাসের ও অধিক সময় নিজের দায়িত্ব পালন করে আসে, হঠাৎ একদিন শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নিষেধে স্কুলে আসা থেকে বিরত আছে প্রায় ২ বছর। এমতাবস্থায় তারিফ স্ত্রী- সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতেছে!
দীর্ঘ সময় ধরে তারিফ মাননীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা অফিসারের শরণাপন্ন হয়ে তাঁদের সাথে নিয়মিত দেখা করতে আসে শুধুমাত্র তার চাকুরী ফিরে পাওয়ার আশায়।
তার পরিবারের আহারের যোগানদাতা হল তার একমাত্র সম্বল চাকুরীটি। সর্বশেষ তারিফের উপস্থিতিতে মাননীয় সাংসদ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে ফোনে উক্ত বিষয় সুরাহা করার নির্দেশ প্রদান করলে; শিক্ষা অফিসার তারিফকে জানান বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সুপারিশ নামা নিয়ে জমা দিতে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি নিপন্দ্র'র নিকট সুপারিশ নামা চাইলে তাকে হিন্দু ধর্মে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়, এমনকি ধর্মে না ফিরলেই চাকরিতে যোগদান হতে দিবেনা! এমনটাই জানিয়েছেন তারিফ হাসান।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবু নিপন্দ্র দের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তারিফের অভিযোগকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি জানান, তারিফের বিষয়ে অনেক অভিযোগ আছে, এগুলো নিয়ে শিক্ষা অফিসে তদন্ত চলছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলে, ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হোয়ানক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারিফ ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে থেকে স্কুলে চাকুরী করে আসতেছে, তিনি কাম-প্রহরী হয়ে বিভিন্ন সময় শ্রেনীতে ক্লাস করাতেন, যার ফলে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় তারিফ। এলাকাবাসী তারিফের চাকুরী ফিরে পেতে উপজেলা প্রশাসন ও মাননীয় সাংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
No comments:
Post a Comment