বাংলাদেশে যেসব অালেম বাতিল শক্তির সাথে আপোষ করেনি তার মধ্যে অন্যতম হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ জামিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারির সদ্য নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী।সহজ,সরল,মিষ্টভাষী ও নির্মোহ মানসিকতার এই অালেম দুনিয়াবী কোন ফায়দা হাসিলের জন্যে অাপোষ করেনি।অনেকে হেফাজতে ইসলামের ব্যানার ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে স্বার্থ হাসিল করলেও তিনি ইসলাম,দেশ ও মানবতার স্বার্থে আদর্শকে বিসর্জন দেয়নি।২০১৩ সালে কিছু মুনাফিক ও চাটুকারদের কারণে তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।বিএনপিপন্থী কিছু হেফাজত নেতার কারণে সেদিন শাপলা চত্বরে রক্তস্রোত বয়েছিল।যারা বিএনপিকে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল তারা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।হয়নি নির্যাতনের শিকার।
মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারেনি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফি ও বাবুনগরী সাহেব। সেদিন গ্রেপ্তার হলেন বাবুনগরী সাহেব।উনিশ দিনের রিমান্ডে অবর্ণনীয় নির্যাতনের পরও জালিমের সাথে তিনি আপোষ করেনি।নাস্তিক,মুরতাদ ও ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে বজ্রকঠিন হুংকার থামেনি। যারা শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে সরকার পতনের ছক কষেছিল তারাই ২০১৮ সালে ৪ নভেম্বর হেফাজতকে কলঙ্খিত করেছে।বিকৃত করেছে শাপলা চত্বরের ইতিহাস।হেফাজতের চেতনাকে বন্ধক দেন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে।স্বার্থান্বেষী সেই মুনাফিকরা শোকরাণা মাহফিলের নামে হেফাজতে ইসলামকে যেমন বিতর্কিত করেছে,তেমনি বিতর্কিত করেছে অাল্লামা শাহ্ আহমদ শফিকে।শোকরাণা মাহফিলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন পাওয়া।কিন্তু মুনাফিক আর চাটুকাররা সেই পাওনা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।
সেই চাটুকারদের সাথে মিশে একাকার আল্লামা শফি সাহেবের ছেলে আনাস মাদানী।আল্লামা শফিকে তারা দাবার গুঠির ন্যায় ব্যবহার করছে।হুজুরের সরলতাকে পুঁজি করে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছে ইসলাম বিদ্বেষীদের কাছ থেকে।তারা আল্লামা শফি সাহেবকে কাবু করতে পারলেও কাবু করতে পারেনি বাবুনগরী সাহেব কে।শোকরাণা মাহফিলের পরের দিন জাতীয় পত্রিকায় কঠিন বিবৃতি দিয়েছিল বাবুনগরী সাহেব।তিনি হুশিয়ার করে বলেছিল,যারা শাপলা চত্বরের শহিদের কথা অস্বীকার করেছে জাতি তাদের ক্ষমা করবেনা।তখন থেকে আনাস মাদানী ও মুনাফিকরা বাবুনগরীর বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র শুরু করে।
আল্লামা শফির পরে হাটহাজারি মাদরাসার পরিচালক হবেন বাবুনগরী সাহেব সেটা সবার জানা।কারণ তিনি এতদিন নায়েবে মোহতামিম ছিলেন।বাবুনগরী হুজুর যাতে মোহতামিম হতে না পারেন তাই হুজুরকে মাদরাসা থেকেও বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র শুরু করে আনাসা মাদানীর নেতৃত্বাধীন মুনাফিক ও চাটুকাররা।আজ ১/০৫/২০২০ বাবুনগরী কে সরিয়ে আনাসা মাদানী পরিচালক হওয়ার ষড়যন্ত্র করলে বিজ্ঞ আলেম ওলামাদের প্রতিবাদের মুখে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।শূরার বৈঠক থেকে আল্লামা বাবুনগরী সাহেব কে হাটহাজারি মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম ঘোষণা করা হয়েছে।সন্ধ্যায় দেখলাম আল্লামা শফির ভিড়িও বার্তা। তিনি বললেন,তিনি কাউকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বা মোহতামিম বানায়নি।আল্লামা শফি সাহেবের বার্ধক্যের দুর্বলতাকে পুঁজি করে তারা স্বার্থ হাসিল করছে।সাথে সাথে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বাবুনগরীর বিরুদ্ধে। আল্লামা শফির আপোষহীনতার কারণে দেশের তৌহিদী জনতা তাঁর পক্ষে থাকবে।কোন মুনাফিক ও চাটুকারদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না ইনশাঅাল্লাহ।
লেখকঃনুর আহমদ সিদ্দিকী
No comments:
Post a Comment