চীনের পর সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস যখন প্রবলভাবে ছড়াচ্ছিল, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ চিন্তায় পড়ে যাই যে দেশেও এই বুঝি করোনার থাবা পড়লো। সেই আশঙ্কা, সেই আতঙ্ক আজ অবশেষে সত্যি হয়েছে। দেশে ইতালী ফেরত দুইজন এবং তাদের পরিবারের একজনের করোনাভাইরাস আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। ফলে পুরো রাষ্ট্র এখন স্থবির, চিন্তিত, এই বুঝি কে কখন করোনার কবলে পড়লো।
চিন্তা করা খুব স্বাভাবিক। কেননা করোনা যেভাবে দ্রুত একজনের থেকে আরেকজনের কাছে ছড়ায় তাতে আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এই ভাইরাস পুরোপুরি ছড়াতে খুব অল্প সময় লাগবে। কিন্তু আশার কথা হলো আমাদের দেশ লড়তে অভ্যস্ত। বাংলাদেশকে কোনো ভাইরাস, কোনো দুর্যোগ আমাদের দেশকে দমাতে পারেনি কখনো। তাই করোনা নিয়েও আমরা চিন্তিত হলেও বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
করোনা সারাবিশ্বে একটি দুর্যোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আর আমরা এটাও জানি যে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় একটি রোলমডেল রাষ্ট্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো হয়, দুর্যোগ পরবর্তীকালে সেই দেশগুলো বেশ মুষড়ে পড়ে। বিধ্বস্ত দেশগুলো অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাড়াতে বেশ সময় নেয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হলেও খুব দ্রুততার সঙ্গে সব দুর্যোগ মোকাবেলা করে নিই। ইতিহাস ঘাটলেও সেসব জানা যায়।
বাংলাদেশ বন্যা, স্লাইক্লোন, ঘুর্নিঝড় মোকাবেলার ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের সামনে আবির্ভূত হয়েছে। জনবহুল এই দেশে দুর্যোগে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হলেও দুর্যোগ মোকাবেলা এবং ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে বাংলাদেশ আগে থেকেই প্রস্তুত থাকে। করোনা দুর্যোগ মোকাবেলাতেও তার ব্যত্যয় ঘটবে না।
সূত্রঃ বাংলা ইনসাইডার
No comments:
Post a Comment