বিশেষ প্রতিবেদক: ঐতিহাসিক চরমোনাই ৩ দিন ব্যাপী মাহফিল ২৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে আখেরী মোনাজাতে সমাপ্ত হয়েছে। আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন আমীরল মুজাহেদীন মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
এবছর মাহফিলে আগত ১৫ জন মুসল্লীর ইন্তেকাল হয়েছে। মাঠেই লাখো লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহফিলে আগত অসুস্থ হয়ে পরা ১০ হাজার ৪,৪৪২ জন মুসল্লীদের ফ্রী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কোতয়ালী, বরিশাল শাখা মাহফিলের এই অস্থায়ী হাসপাতাল পরিচালনা করেন।
সম্পুর্ণ সেচ্ছাসেবী হয়ে চরমোনাই অনুসারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এ সেবা দিয়েছেন। চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহছানাবাদ মাদ্রাসায় মাহফিল উপলক্ষে এই অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন হয়।
চরমোনাই মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতালের পরিচালক মাওলানা মূহাঃজাকারিয়া হামিদী ও বরিশাল সি এম এইচ প্রশাসনিক অফিসার কর্তৃক সাক্ষরিত তথ্য নোটে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র মতে, জরুরী বিভাগ (ইনডোর) ৬৪০ জন।
ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩৩৪ জন।সার্জারি ৫০৯ জন।
মেডিসিন ২৯২ জন, আউটডোর ৩৭৬৬ জন। মোট ৫ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে ফ্রী ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২২১ জনকে। এবারের মাহফিলে মৃত রোগীর সংখ্যা ১৫ জন। মোট চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৪৪২ জন মুসল্লীকে। এর মধ্যে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শো বা চিম হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে ২০ জনকে।
মাহফিলের স্বেচ্ছাসেবক ছিল প্রায় ২০ হাজার ।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী মাহফিল শুরু হলেও দুই দিন আগেই জনস্রোত শুরু হয় মুসল্লীর। একদিন আগেই ৫ টি বৃহৎ ময়দান কানায় কানায় ভরপুর হয়ে যায়। জায়গা না পেয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে, বাড়িঘরের উঠানে অবস্থান নেয়। এবার অতীত রেকর্ড ছাড়িয়ে ব্যাপক সমাগম ঘটে। জনসমুদ্র রুপ ধারণ করে গোটা এলাকা। শনিবার সকালেে আখেরী মোনাজাতে শেষ হয় বৃহৎ এ মিলনমেলা।
No comments:
Post a Comment