
যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশে ফেরার পর তার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলেও করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আজ রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন কানপুরের ওই বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় কোচি বিমানবন্দর থেকেই তাকে সোজা হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি ডায়াবেটিস ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।
কেরালার পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আমর ফেত্তল জানান, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এমন সুনিশ্চিত তথ্য নেই। তবে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তার শারীরিক নমুনা আবারও পরীক্ষা করা হবে। রোববার নাগাদ এই পরীক্ষার ফলাফল আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ কর্মকর্তা জানান, তারা যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন। যদি ওই ব্যক্তির শরীরে সত্যিই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়, তবে তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে চিহ্নিত করে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পথে ওই ব্যক্তির সঙ্গে একই বিমানে আরও ৪২ যাত্রী ছিলেন। তাদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে দেশটির বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, এরপর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য এলাকায়। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৮২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ হাজার ৮৭০ জন।
বিশ্বের অন্তত ৫৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এর মধ্যে চীনের বাইরে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় ও মৃত্যুর ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৫০ জন আক্রান্ত ও ১৭ জন মারা গেছেন। আর ইরানে আক্রান্ত ৫৯৩ ও মৃত্যু ৪৩ জনের। ভারতে এ পর্যন্ত অন্তত তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন।
No comments:
Post a Comment