বিশেষ প্রতিবেদক ও পারভেজ হোসাইন
চরমোনাই থেকেঃ-
চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার। কিন্তু এর একদিন আগেই ৫ টি বৃহৎ ময়দানে মুসল্লীতে কানায় কানায় ভরপুর হয়ে গেছে। এদিকে চরমোনাই অভিমুখে সড়ক ও নদীপথে জনস্রোত আসছেই আসছে। যায়গা না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে, বাড়িঘরের উঠানে, যেখানেই খালি যায়গা আছে সেখানেই অবস্থান নিচ্ছেন মুসল্লীরা। ঘাটে শত শত লঞ্চেও মানুষ অবস্থান নিচ্ছেন।
এবারের উপস্থিতি অতীত রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবছরই উপস্থিতি বেড়েই চলেছে। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী মাহফিল শুরু হবে।
এদিন বাদ জোহর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের আম বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী এই মাহফিল ২৯ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
চরমোনাইয়ে প্রতি বছর দু’টি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে ফাল্গুনের মাহফিল বলে খ্যাত এই মাহফিলটি হয় তুলনামূলকভাবে বড়। বার্ষিক এই মাহফিলে অংশ নিতে ইতোমধ্যে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই মাদরাসার মাঠসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে সমবেত হচ্ছেন মুসল্লিরা।
তিন দিনব্যাপী মাহফিলে দেশ-বিদেশ থেকে আগত আলেম-উলামা ও ইসলামি স্কলাররা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন। মাহফিল চলাকালীন প্রতিদিন বাদ ফজর ও মাগরিবের পর চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম উপস্থিত মুরিদ-মুহিব্বিনদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান পেশ করবেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনি বয়ান পেশ করবেন।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছরও মাহফিলের বয়ান লাইভ সম্প্রচার www.charmonaivs.net ওয়েবসাইটটি সক্রিয় থাকবে বলে জানা যায়। পুরো মাহফিল নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রাখা হবে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। ৫ টি বৃহৎ ময়দানে ১০ হাজারের অধিক মাইক লাগানো হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক এর জন্য পাঁচটি অস্থায়ী টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
এবার মুসল্লিদের জন্য মোট ৫টি মাঠে ১০ বর্গকিলোমিটারের বেশি প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় রয়েছে পুলিশ, র্যাব ছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র, শিক্ষক ও মুরিদ। ইতোমধ্যে মাহফিলের সাবির্ক কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবে একটি দক্ষ মেডিকেল টিম।
No comments:
Post a Comment