নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জামায়াতের এক বক্তা মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কে প্রকাশ্যে জুতা মারার হুমকি দিয়ে মাহফিলে নিজের জুতা প্রদর্শন করেন যা একজন ওয়াজের কাছে বেমানান তো বটে তা সাধারণ মানুষের দ্বারাও সংগঠিত হোক কেউ কামনা করেনা।ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন তার নাম মাসুদ ইবনে মুজিব ফারুকী।তিনি মিজানুর রহমান আজহারীর পক্ষাবলম্বন করতে গিয়ে নিষিদ্ধ পল্লীতে জন্ম নেওয়া জারজ সন্তানের ন্যায় আচরণ করে প্রমাণ করলেন জামায়্ত করলেই বেয়াদব হতে হয়।মাহফিলে যেখানে কোরআন হাদিসের কথা বলা হবে,যেখানে মানুষকে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে শিখিয়ে জান্নাতে যাওয়ার পথ মত চিনিয়ে দিবে সেই মজলিসে অন্য একজন দায়ী কে নির্দেশ করে জুতা প্রদর্শন চরম মূর্খতা,অসভ্যতা ও বেয়াদিবর প্রমাণ ।আমার জানা মতে কোন আলেম এভাবে মাহফিলে জুতা প্রদর্শন করেছে তার ইতিহাসে নেই।যে হাতে সে জুতা প্রদর্শন করেছে ঠিক একই হাতে কোরআনও প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।নিঃসন্দেহে এটা পবিত্র কোরআনের প্রতিও অবমাননা।ভিডিওটি দেখতে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
কথিত আছে যারা জামায়াতের সাথে জড়িত হয় তারা বেয়াদবই হয়।আজ জামায়াতের এই বক্তার কারণে ফের প্রমাণিত তারা প্রকৃতপক্ষে বেয়াদবই বটে।মিজানুর রহমান আজহারী মালেশিয়াতে গিয়েছে পড়ালেখার তাগিদে।তাকে কেউ দেশ ত্যাগে বাধ্য করেননি।তা স্বর্থেও জামায়াত শিবিরের উগ্র বেয়াদব নেতা কর্মীরা অশালীন ভাষায় মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই, মাওলানা মামুনুল হক মাওলানা হাফিজুর রহমানসহ কওমী আলেম ওলামাদের গালিগালাজ করেই যাচ্ছে।বয়ানের ময়াদানে অল্প সময়ে মিজানুর রহমান আজহারী যত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ইতোপূর্বে আর কেউ এতটা বিতর্কের জন্ম দেয়নি।শরিয়াতের মিমাংশিত বিষয়ে ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছে আজহারী।জামায়্ত তাদের কাটমোল্লাকেও আল্লামা বানিয়ে ছাড়ে।মিজানুর রহমান নিজেই বলছেন তিনি এখনো ডক্টরেট পাস করেননি।নিজে অনুরোধ করছেন তাকে ডক্টর না বলতে।কিন্তু জামায়াত শিবিরের উগ্র পোলাপাইন তাকে তুলতে তুলতে আসমানে উঠিয়ে দিয়েছে।এখন আজহারী আসমান থেকে আর নামতে পারছেনা।
আজহারীর পক্ষাবলম্বন করে জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা যেভাবে গালিতে গালিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিষিয়ে তুলেছে তাতে দিন শেষে তাদেরই ক্ষতি হয়েছে।কুয়াকাটা হুজুরকে কয়ার ব্যাঙ বলে কটুক্তি করেছে।গত ৪ জানুয়ারি ২০২০ চট্টগ্রাম পলোগাউন্ড ময়দানে তিন দিন ব্যাপি চরমোনাই নমুনায় মাহফিলো তিনি বয়ান করতে গিয়ে যে কথা গুলো বলেছে তা মিজানুর রহমান আজহারীকে বলেননি।তিনি বলেছিলেন যারা আজহারীর পক্ষাবলম্বন করতে গিয়ে হক্কানি অালেমদের গালি দিচ্ছে তাদের কে।আল্লামা শফি সাহেব,চরমোনাইর পীর সাহেব আর আমি হাফিজুর রহমান হেলিকপ্টার করে মাহফিলে গেলে হয়ে যায় হেলিকপ্টার হুজুর। তাদের গুরু হেলিকপ্টারে করে মাহফিলে গেলে তা হয়ে যায় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।এটা বলার পর বললেন,ওরে বাটপার।আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম উক্ত মাহফিলে।জামায়াত এমনই একটি দল যারা সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করতে চাই।নিজেদের ভাবে খুব বুদ্ধিমান অন্যরা সবাই বোকা।আসলেই যে তারা বোকা তা নিজেরাও ঠের পাচ্ছে না।তাদের সব অপকৌশলে প্রকাশিত হচ্ছে।আজহারীকে দিয়ে মাঠ দখলের চেষ্টা করে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন জামায়াত।এভাবে জামায়াতের সকল অপকৌশল প্রকাশ পাবে।মাহফিলে প্রকাশ্যে জুতা প্রদর্শনের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হোক।
লেখকঃ নুর আহমদ সিদ্দিকী
No comments:
Post a Comment