১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে নামে যে সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে তাতে ধর্ষকদের এক প্রকার উৎসাহিত করা হচ্ছে।ধর্ষক আর বখাটে টাইপের ছেলে গুলো এই দিনটাকে কাজে লাগিয়ে মিটিয়ে নেয় তাদের যৌন চাহিদা।প্রত্যেক দেশ ও জনগন চাই ধর্ষণ রূখতে কিন্তু ধর্ষণ রূখবে তো দূরের কথা উল্টা ধর্ষণে উৎসাহিত করা হচ্ছে।এর জন্যে দায়ী মিডিয়া।মিডিয়ার নিলর্জ্জে প্রচারণার কারণে ধর্ষণে উৎসাহিত হয় ধর্ষক।ইসলাম ভ্যালেন্টাইন ডে কে সমর্থন করেনা।বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের নামে অসভ্য যৌনতার চর্চা কোন ধর্মই সমর্থন করতে পারেনা।ইসলামে বিবাহপূর্ব নারীর পুরুষের অবাধ মেলামেশা হারাম ঘোষণা করা করেছে।সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে ভ্যালেন্টাইন ডে ধর্মবিদ্বেষী কালচার যা সভ্য সমাজে ধিক্কিত হওয়ার কথা।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, যারা ধর্ষণ ঠেকাতে আইন করে,জনগনকে সচেতন করে তারাই ১৪ ফেব্রুয়ারি আসলে যুব সমাজকে ধর্ষণে উৎসাহিত করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি আসলে তরুণ তরুণী তাদের প্রিয়জনকে ভালোবাসার নিবেদন করবে।নতুন করে শপথ নিবে যিনা করার।সাম্প্রদায়িক সুশীল সমাজ যারা ধর্ষণ ঠেকাতে চিল্লাফাল্লা করে তারাও তরুণ তরুণীদের অসভ্য হতে প্রাথমিক পাঠ দেয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন ডে এর পরে নালা নর্দমাতে কনডম পাওয়া যায়।এর বছর খানেক পরে পাওয়া যায় প্যাকেট করা বাচ্চা।ঐ প্যাকেট করা বাচ্চাই হলো ভ্যালেন্টাইন ডে এর ফসল।সাম্প্রদায়িক সুশীল সমাজ আর মিডিয়া মিলে বাংলাদেশের তরুণ তরুণীদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিচ্ছে।গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন সময় টিভির রিপোর্ট দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।তাদের রিপোর্টটি বাংলাদেশের মত কোন মুসলিম দেশে হতে পারে না।তাদের রিপোর্টের শিরোনাম ছিল,আজ চুমু দিবস।ছিঃছিঃ ৯২% মুসলমানের দেশের গণমাধ্যম যদি এমন অসভ্য সংস্কৃতিতে মেতে উঠে তাহলে ধরে নেওয়া যায় ধর্ষকদের উৎসাহিত করছে এসব মিডিয়া।
২০১৯ সাল ছিল,ধর্ষণ,গুজব,খুন,গুম আর গজবের বছর।দেশব্যাপি হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল ধর্ষণ।গত জানুয়ারির শুরুর দিকে ধর্ষিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।যারা ধর্ষিত হয় এবং ধর্ষণ করে তারা প্রত্যেকের খুঁজ নিয়ে জানা যাবে তারা ভ্যালেন্টাইন ডে তে কারো না কারো সাথে গলাগলি করেছে।দেশের মিডিয়া গুলো যৌনতায় উৎসাহিত করছে।পুরুষের সেন্ডু গেঞ্জির বিজ্ঞাপনে কেন সুন্দরি নারীর ছবি দিতে হবে? তার মানে পণ্য খারাপ হলেও যাতে সুন্দরি নারীর নগ্ন ছবি দেখে ক্রেতারা পণ্য ক্রয় করে।সুতরাং একথা স্পষ্ট যে মিডিয়া নারীদের বাজারের সস্তা পণ্য বানিয়েছে। তাই মিডিয়ায় চোখ রাখতেই ধর্ষণের মহা উৎসবের খবর চোখে পড়ে।বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচারের বিপরীতে চলছে দেশের সিংহভাগ মিডিয়া।মিডিয়ার নিলর্জ্জ যৌনাচারে বিপদগ্রসথ হচ্ছে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা।ভ্যালেন্টাইন ডে কে পাকিস্তানে বোন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।বাংলাদেশেও ভ্যালেন্টাইন ডে বোন দিবস ঘোষণা দাবি করছি।আসুন বিকৃত যৌনচার কে না বলি।
লেখকঃ নুর আহমদ সিদ্দিকী
No comments:
Post a Comment