আজ প্রিয় কবি আল মাহমুদের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী।তিনি ছিলেন ডানপন্থী ঘরানার লেখক।তাঁর লেখনিতে খুঁজে পেতাম কবি ফররুখ আহমদ,কাজী নজরুল কে।১৯৩৬ সালে জন্ম নেওয়া আল মাহমুদ দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।গেল বছর ২০১৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের ছেড়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।আজ আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মানো বাক্য প্রার্থনা করছি যাতে কবিকে জান্নাতুল ফেরদের নসিব করেন।
কবি আল মাহমুদ এর লেখনিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে।বাংলা সাহিত্যে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা।তিনি যেমন ছিলেন কবি,তেমনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক।বাংলা সাহিত্যে যাকে সোনালী কাবিনের কবি বলে এক নামে চিনে।অাধুনিক যুগে যার সাহিত্যে রয়েছে অসামান্য অবদান।তা স্বর্থেও তিনি হয়েছিলেন কোণঠাসা। তার অন্যতম কারণ ছিল তিনি ছিলেন ইসলামপন্থী লেখক ও কবি।তিনি প্রগতিশীল তথা বামপন্থীদের ন্যায় ইসলাম ধর্মকে আঘাত করেননি।তিনি সাহিত্যকে ধর্মের বিপরীতে দাঁড় না করিয়ে ইসলামই শ্রেষ্ট ধর্ম হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছেন বার বার।তার একটি কবিতার কিছু লাইন নিচে উল্লেখ করছি।
আমরা বদর থেকে ওহুদ হয়ে এখানে,
শত সংঘাতের মধ্যে এ কাফেলায় এসে দাঁড়িয়েছি
কে প্রশ্ন করে আমরা কোথায় যাব?
আমরা তো বলছি আমাদের যাত্রা অনন্তকালের
উদয় অস্তের ক্লান্তি কোন দিনই
বিলম্ব করতে পারেনি
আমাদের দেহ ক্ষত- বিক্ষত
আমাদের রক্ত লাল হয়ে উঠেছিল মূতার প্রান্তরে।
পৃথিবীতে যত গোলাপ ফুল ফোটে
তার লাল বর্ণ আমাদের রক্ত
তার সুগন্ধ আমাদের নিঃশ্বাস বায়ু।
আমাদের হাতে একটি মাত্র গ্রন্থ অাল কুরআন
এই পবিত্র গ্রন্থ কোন দিন, কোন অবস্থায়,
তৌহিদীবাদীদের থামাতে পারেনা
আমরা কি করে থামি?
সাহিত্যের পরতে পরতে অবদান থাকা স্বর্থে তাঁর প্রতি ছিল বামপন্থি সুশীল সমাজ, লেখক ও কবিদের চরম বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ।মৃত্যুর পর তাঁর লাশ শহিদ মিনারে যেতে দেয়নি।তাঁর প্রতি আওয়ামী সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে।বামপন্থী প্রগতিশীল নামের সাম্প্রাদায়িক লোকদের কাছে তিনি ছিলেন এক প্রকার অসহ্যের।তাঁকে জামায়াতীদের কবি বলেও কটুক্তি করেছিল বামপন্থী সুশীল সমাজ।তিনি ছিলেন একজন ধার্মিক কবি।নিজের আদর্শকে বিসর্জন না দিয়েও শ্রেষ্ট কবি হওয়ার গৌরব অর্জন করা যায় তা কবি আল মাহমুদ এর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে।সাহিত্য চর্চার নামে যারা ইসলাম ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করে তারা দেখতে মানুষের মত মনে হলেও তাদের আচরণে প্রমাণিত হয় তারা চতুষ্পদী জানোয়ার।এরা মুক্ত চিন্তার নামে ধর্মের উপর আঘাত করে।সাহিত্য চর্চায় ইসলাম বাধা প্রদান করেনা।পবিত্র আল কুরআনের মত সাহিত্যিক গ্রন্থ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।মুসলিম কবিদের সাহিত্য কে চুরি করে প্রগতিশীল নামধারী বাপমন্থী কবি,লেখরা।এমন কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থে মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমঅ রহ এর লেখার সাদৃশ্য পাওয়া গেছে।যারা ইতোমধ্যে বিখ্যাত লেখকের তালিকায় তাদের অনেকেই মুসলিম কবি,মনীষী ও সাহিত্যিকদের লেখা চুরি করেছে।তাই আমি বলি,
সোনালী কাবিনের কবি
তুমি আছ মোর হৃদয়ে
নত করনি শীর
কোন জালিমের ভয়ে
বঞ্চিত হয়েছো অধিকার থেকে
চাটুকার ছিলেনা বলে
শহিদ মিনারে লাশ যেতে দেয়নি
ছলে বলে কৌশলে।
লেখকঃনুর আহমদ সিদ্দিকী
No comments:
Post a Comment