বিশেষ প্রতিবেদক / ও পারভেজ হোসাইন,ময়দান থেকে ঃঃ
দেশ-জাতি ও সমস্ত মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও উদ্বোধনী বয়ানে ঐতিহাসিক ৩ দিন ব্যাপী চরমোনাই মাহফিল শুরু হয়েছে । মাহফিলের ৫ টি বৃহৎ ময়দান আগেরদিন কানায় কানায় ভরপুর হয়ে গেছে। আশপাশের বাড়িঘরের উঠানে ও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছে মুসল্লীরা। পুরা এলাকা মানুষের ভীরে জনসমুদ্রেে রুপ ধারণ করেছে।
উদ্বোধনী বয়ানের শুরুতে চরমোনাই পীর বলেন, চরমোনাই এটা কোন প্রচলিত দরবার নয়। দুনিয়াবি কোন স্বার্থ হাছিলের জায়গা না। দুনিয়াবি কোন বিপদ আপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া, ধনসম্পদ বৃদ্ধি করা অথবা রোগ বালাই থেকে আরোগ্য লাভের বাহানা নিয়ে এখানে কেউ আসবেন না। যদি কেউ এমন নিয়্যতে এসে থাকেন, তাহলে এখুনি নিয়্যত পরিবর্তন করে ফেলুন। এখানে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক জড়ায়ে দেয়ার কাজটা করা হয়। হেদায়েত লাভের পথটা বাতায়ে দেয়া হয়।
বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী বাদ যোহর চরমোনাই মাহফিলেের উদ্বোধনী বয়ানে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী বয়ানে দেশ জাতির ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, শুধু মাহফিলে আসলেই হবে না, সার্বক্ষণিক জিকিরে-ফিকিরে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে হলে সবার আগে ঈমানকে মজবুত করতে হবে। কলবে আল্লাহর জিকির ধারণ করতে হবে। দুনিয়ার আরাম-আয়েশ ভুলে গিয়ে জিকির এবং ঈমানের সঙ্গে চলাফেরা করলে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ সম্ভব বলে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।' এসময় দেশ বিদেশের উলামা মশায়েখ বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চরমোনাই ফাল্গুনের মাহফিলে পীর সাহেব চরমোনাই’র অামন্ত্রণে মালয়েশিয়ার জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব শাইখ দাতু ওয়ান জাহিদী বিন ওয়ান তেহ এবং মালয়েশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শাইখ আহম্মদ হাফিজ বিন হাজী মোহাম্মদ বাকানি চরমোনাই মাহফিলে অবস্থান করছেন।
No comments:
Post a Comment