ভারতের উত্তর প্রদেশের মসজিদে মাইক ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে পীর চরমোনাই বলেন, ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত করেছে।
তিনি বলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট অপরের কষ্ট হয় এমন অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদি এমনই হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের পুরো কর্মকান্ডই হলো মানুষের বিরক্তির কারণ। তারা ঢোল-তবলা বাজিয়ে শব্দদূষণ করে। অপরদিকে মুসলমানদের শুধুমাত্র আযান মাইকে দেওয়া হয়, অন্যান্য ইবাদত কেবলমাত্র নিরবে করা হয়ে থাকে। শব্দ দূষণর অজুহাত তুলে এ রায় দিয়ে ভারতের হাইকোর্ট অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভারত সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ালেও প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মকে সহ্য করতে পারছে না। পীর চরমোনাই অবিলম্বে আযান নিষেধের রায় বাতিল করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে, ভারতের উত্তর প্রদেশে দুটি মসজিদকে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহার করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং ভিপিন চন্দ্র দীক্ষিতের ডিভিশান বেঞ্চ বলেছে, কোনও ধর্মই এটা শেখায় না যে প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে। আর যদি সেরকম কোনও ধর্মীয় আচার থেকেই থাকে, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যদের তাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয়।
দেশটির জৌনপুর জেলার বাদ্দোপুর গ্রামে অবস্থিত দুটি মসজিদে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহারের অনুমতি নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মাইক ব্যবহারের অনুমতিকে নবায়ন করতে চায় নি। তার বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।
এর প্রেক্ষিতে শব্দ দূষণরোধ আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নানা রায় তুলে ধরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছেন, সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু সেই ধর্মাচরণের ফলে অন্য কারও অসুবিধা করার অধিকার কারও নেই।
No comments:
Post a Comment