রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াতের মত ভুল কোন রাজনৈতিক দলে করেনি।১৯৪৭ সালে মুহাম্মদ অালী জিন্নাহর দ্বি জাতি তত্বের ভিত্তিতে ভারত পাকিস্তান ভাগ হতে চাইলে সব চেয়ে বেশি বিরোধীতা করেছিল জামায়াতের প্রতিষ্টাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদি।পাকিস্তান থেকে পূর্ব বাংলা স্বাধীন হতে চাইলেও বিরোধীতা করে জামায়াত।ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে তাদের শক্ত অবস্থান নেই তাদের দ্বিমুখী ও স্ববিরোধী আচরণের ফলে।স্বাধীনতার পর জামায়াত নিষিদ্ধ হয়েছিল। পরে মেজর জিয়াউর রহমানের সর্বদলীয় গণতন্ত্রের ফলে জামায়াত ফের রাজনীতির সুযোগ পায়।কিন্তু তারা মেজর জিয়াউর রহমানের সাথে বেঈমানি করেছিল।১৯৯১ সালে খালেদার জিয়ার সাথে রাজনীতি করলেও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল জামায়াতী ইসলামী।ক্ষমতার লোভে যে কারো সাথে তারা বেঈমানি করতে পারে।খালেদার জিয়ার ভাষায় - জামাত শিবিরের কাছে দেশ বড় নয়,মানুষ বড় নয় তাদের কাছে দল ও নেতা বড়।আসলেই খালেদা জিয়া সত্য বলেছেন।তারা নেতার জন্য জীবন দিতে পারে নবীর জন্য নয়।তারা নেতাকে বাঁচাতে রক্ত দিতে পারে নবীর দুষমন কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে পারেনা।এরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাজনীতি করে।জামায়াত কোন ইসলামী দল নয় বলে চ্যালেন্চ করেছিল মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করিম কিন্তু সেই চ্যালেন্জ জামায়াত গ্রহণ করতে পারেনি।
আজ জামায়াতের বক্তা আমির হামজার একটি ভিডিও দেখলাম।বয়ানের মাঝে তিনি বললেন চরমোনাইর পীর ভন্ড।তাদের কোন চাকরি বাকরি নেই পীর মুরিদি ব্যবসা করে চলে।বাংলাদেশ সব চেয়ে বড় প্রতারক বলেও সম্মোধন করলেন পীর সাহেব চরমোনাইকে। গত বছর তিনি বলেছিলেন চরমোনাই পীর সাহেবের মত একশ পীর সাহেব থাকলে বাংলাদেশে ইসলামী হকুমত কায়েম হবে।তাহলে যাকে ছয় মাস আগে হক্কানি পীর বললেন ছয় মাস পর তাঁকে ভন্ড ও প্রতারক বলা স্ববিরোধী আচরণ নয় কি?? ২০১৩ সালে আল্লামা শফিকে তারা আমিরুল মোমিনীন ঘোষণা দিয়েছিল অতি উৎসাহী হয়ে।হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করে জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল।কিন্তু অাওয়ামী লীগের দূরদর্শীতার ফলে ভেস্তে যায় জামায়াতের দিবা স্বপ্ন। শাপলা চত্বরে যাারা শহিদ হয়েছিল তার দায়ভার এক মাত্র জামায়াতের।কারণ হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করে জামায়াত যে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিল তা হেফাজতের আমির ও মহাসচিব না জানলেও সরকার জানত।সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের তথ্য ছিল ভয়ংকর। তাই সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হেফাজতে ইসলামের নীরহ মানুষের উপর হামলা করেছিল।সুতরং এ কথা স্পষ্ট যে হেফাজতের উপর হামলা হয়েছিল জামায়াতের কারণে।
এবার আসুন কওমী মাদরাসা সার্টিফিকেট এর মাস্টার্সের মান দিলে নোংরা প্রচারণায় নামে জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা।২০১৩ সালে যাকে আমিরুল মোমিনীন বলেছিল সেই আল্লামা শফিকে এমন কোন গালি নেই যা তারা দেয়নি।হুজুরের ছবিকে বিকৃত করে প্রচার করে।এডিট করে আল্লামা শফিকে হাসিনার কোলে বসিয়ে দেওয়া,বাঁশের উপর টাঙ্গিয়ে রাখাসহ এমন কোন নোংরামী নেই যা তারা আল্লামা শফির শানে করেনি।এদের কথার কোন বাস্তবতা নেই।১৯৯১ সালের ফতোয়া ১৯৯৬ সালে পাল্টে যায় আর ১৯৯৬ সালের ফতোয়া পাল্টে যায় ২০০১ সালে এসে।১৯৯৭ সালে তারা হাটহাজারি মাদরাসায় হামলা করেছিল।তারা কওমী মাদরাসায় শিক্ষিত আলেমদের মূর্খ বলে কটাক্ক করত। অহংকারের সাথে বলত, আমরা কওমী আলেমদের গণনা করিনা।যখন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি দিল তখন সাবেক জামায়াতের আমির গোলাম আজমের ছেলে কওমী আলেমদের অভিশাপ দিয়েছিল নিজামীর ফাঁসিতে প্রতিবাদ করেনি তাই।যাদের কে জামায়াত গণনায় ধরে না তাদের প্রতিবাদ কেন অাশা করবে?? এটা কি স্ববিরোধী আচরণ নয়? তাদের বুঝা উচিত ছিল শকুনের দোয়ায় গরু মরেনা।আজহারী,তারেক মনোয়ার,আমির হামজা,রফিকুল্লাহ আফসারী এদের বয়ান হাসির খোরাক যোগায়।ইসলামকে বিকৃতরূপে প্রচার করছে তারা।হক্কানি ওলামায়ে কেরাম সংশোধনের জন্য আহবান করলে তাতে অহংকারের সাথে প্রত্যাখান করে।শুধু তাই না যারা তাদের বিকৃত ফতোয়ার বিরুধীতা করে তাদের বিরুদ্ধে নোংরা প্রচারণা করে।গালিতে গালিতে অনলাইন বিষাক্ত করে তুলে।জায়াতের কারণে রাজনীতির মাঠ আজ বিষাক্ত। সেই বিষ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কোন আলেম।কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে হক্কানি ওলামায়ে কেরাম আন্দোলন করলেও জামায়াত নীরব।যত প্রকার ভ্রান্তমতবাদ আছে সবার সাথে জামায়াতের সখ্যতা রয়েছে।এরা নিজেদের চরিত্র সম্পর্কেও বেমালুম।তারা কি ইসলামী দল নাকি বস্তুবাদী দলের দালাল তাও ভুলে গেছে ।কোন একদিন এদেশে---- ধারাবাহিক চলবে
লেখকঃনুর আহমদ সিদ্দিকী।
No comments:
Post a Comment