লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউপির ০৭ নং বাউরখাড়া ওয়ার্ডের আওতাধীন চৌধুরী মেম্বার সড়ক থেকে বাউর খাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খোদ্দনগর নোয়া বাড়ি ও পাটোয়ারী বাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কটির বেহাল দশা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,২০০৪ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া সড়কটি কাচা থেকে পাকাকরণ করলে ১বছর পর থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়।এর পর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সড়কটি সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই ১৫ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণের। সড়কটির মধ্যবর্তী স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় কোমলমতি ছাত্রছাত্রিরা বিদ্যালয়ে যাওয়া আসায় খুবই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।বিভিন্ন স্থানে রাস্তার অস্তিত্ব বিলিনের পথে।কোথাও কোথাও প্লাস্টিকের বস্তা ব্যাবহার করে রাস্তা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।এমতাবস্থায় রিকশা তো দুরের কথা সাইকেল কিংবা পায়ে হেটেও চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সড়কটিকে ঘিরে বাউরখাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বাউরখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ভোট কেন্দ্র)দল্টা বাজার সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে।।
এসড়কটি দিয়ে দল্টা বাজার, দল্টা কলেজ,চাটখিল উপজেলা সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে প্রায় ৫ হাজার লোকের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম উক্ত সড়কটি।
এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কেতুয়া সড়ক থেকে তুলাতলি মার্কেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটি ২০০০ সালে নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করায় এক বছরের মধ্যে উক্ত সড়কটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিনত হয়।এসড়কটির আশেপাশে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। তাই জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উক্ত সড়ক দু'টি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু বলেন,আমার ইউনিয়নে একাধিক সড়ক রয়েছে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ।আমি এ পর্যন্ত প্রায় ৩২টি সড়ক সংস্কারের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করেছি। যে দুটি সড়কের কথা উঠে এসেছে সেগুলির লিস্ট ও পাঠানো হয়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেভাবে উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে ঠিক সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করছেন লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ার হোসেন খান। আমি আশা করছি ১০নং ভাটরা ইউনিয়নের সবকটি সড়ক ধারাবাহিকতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেই সাথে এলাকার জনগণ সাথে থাকলে কাজের গতি আরো বৃদ্ধি হবে বলে আমি আশা করছি।
No comments:
Post a Comment