শায়খুল হাদীস নাম শুনলে সবাই চোখ বন্দ করে বলে দিবে আল্লামা আজিজুল হক রহ এর কথা।এদেশের মানুষ শায়খুল হাদিস হিসেবে হযরতকেই চিনে।তিনি একজন অবিসংবাদিত নেতা,প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ও বুখারী শরিফের প্রথম বাংলা অনুবাদক।তিনি রাজনীতি করেছেন দেশের সংবিধান মেনে।উগ্রবাদী ও চচরমপন্থিদের সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক ছিলনা।গতকাল বেসরকারি টিভি চ্যানেল যুমনা টিভিবে হুজুরকে হরকাতুল জিহাদ বা হুজির নেতা বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে চরম আঘাত দিয়েছে।সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।সর্বমহল থেকে উঠছে প্রতিবাদের আওয়াজ।আজ সোমবার তাঁর সন্তান মাওলানা মামুনুল হক কড়া হুশিয়ারি দিয়েছে যুব মজলিসের মানববন্ধন থেকে। যমুনা টিভির এই মিথ্যা প্রচারের জন্য সকল ইসলামী দলের প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করছি।কারণ শায়খুল হাদিস রহ এর বিরুদ্ধে করা অভিযুগে নীরব থাকলে পরবর্তীতে তারা মুফতি আমিনি,পীর সাহেব চরমোনাই রহ কেও জঙ্গি অপবাদ দিতে দেরি করবেনা।গত বছে চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরেশন কতৃক রাজাকারদের ছবি প্রকাশ করেছিল পীর সাহেব চরমোনাই রহ এর ছবি দিয়ে।পরে প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করে এবং ভুলে সংযোজন হয়েছে বলে এড়িয়ে যায়। আদৌ ভুল হয়নি এটা করে আলেমদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে তারা।আমি মনে করি,যমুনা টিভির রিপোর্টটি পরীক্ষামূলক। এতে যদি দেশব্যাপি ব্যাপক আন্দোলন ও প্রতিবাদ প্রতিক্রিয়া না হয় তাহলে পরবর্তীতে তারা মুফতি আমিনি রহ,পীর সাহেব চরমোনাই রহ,হাফিজ্জি হজুর রহ কে জঙ্গি অপবাদ দিবে সেটা নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়।
শায়খুল হাদিস রহ কে জঙ্গি অপবাদের মাধ্যমে পার পেয়ে গেলে পরবর্তীতে তারা মাওলানা মানুনুল হক,মাওলানা মাহফুজুল হক কে জঙ্গি বানাবে এবং তাদের দল তছনছ করে দিবে।পীর সাহেব চরমোনাই রহ কে জঙ্গি অপবাদ দিতে পারলে পীর সাহেব চরমোনাই ও শায়েখে চরমোনাইর কণ্ঠরোধ ও রাজনীতিতে কোণঠাসা করতে পারবে।ঠিক একই কায়দা হযরত হাফিজ্জি হুজুর রহকে জঙ্গি অপবাদ দিয়ে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফিজ্জির কণ্ঠরোধ ও খেলাফত আন্দোলনকে কোণঠাসা করতে দেরি কোথায়??যমুনা টিভি কতৃক শায়খুল হাদিস রহ কে জঙ্গি অপবাদ নিছক ভুল নয় আমি মনে করি এটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অংশ বিশেষ।এই ষড়যন্ত্রে তারা সফল হতে পারলেই ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে বেশি বেগ পেতে হবেনা।আমরা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক কাদা ছুড়াছুঁড়ির সুযোগে মিডিয়া কঠিন ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে।এটা মিডিয়া করছে না বরং মিডিয়ার মাধ্যমে করানো হচ্ছে।পেছন থেকে কলকাটি নাড়ছে ইসলাম বিদ্বেষী ও ইহুদী খ্রিস্টানদের দালালরা।আমি মনে এই বিষয়ে কোন ইসলামী দল চুপ থাকতে পারেনা।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির পীর সাহেব চরমোনাই কঠিন হুংকার দিবে সেই প্রত্যাশায়।শায়খুল হাদিস রহ পীর সাহেব চরমোনাই রহ এর প্রিয় উস্তাদ।উস্তাদকে যদি জঙ্গি অপবাদ দিয়ে সফল হতে পারে তাহলে তাঁর ছাত্রকে জঙ্গি অপবাদ দিতে দেরি কোথায়??এই ইস্যুকে সামনে রেখে ইসলামী দল সমূহের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে বলে মনে করছি।।
মাওলানা মানুনুল হক ও মাওলানা মাহফুজুল হক মহোদয় যমুনা টিভির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে পারে।কিন্তু মাঠে ময়দানে আন্দোলন সংগ্রামও চলবে।
#কিছু পরামর্শ
১) যমুনা টিভির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা
২) সকল ইসলামী দলের প্রধানদের নিয়ে এবিষয়ে করণীয় কি হতে পারে ও তাদের পরামর্শ চাওয়া
৩) সকল ইসলামী দলের প্রধানসহ একটি সংবাদ সম্মেলন করা
৪) শায়খুল হাদিস রহ এর জীবন ও কর্ম জাতির কাছে স্পষ্ট করা
৫) হেফাজতে ইসলাম এর আমির ও মহাসচিব এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইবে
৬) ইসলামী দল ছাড়াও বিভিন্ন মাদরাসা ও রাজনৈতিক সংগঠন কতৃক প্রতিবাদ জানানো
লেখকঃ নুর আহমদ সিদ্দিকী
No comments:
Post a Comment