শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনাসহ সারাদেশে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে বিপাকে পড়েছেন বাস যাত্রীরা। অভ্যন্তরীণ রুটে বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে বাস চলাচল কথা থাকলেও চলছে না। নতুন সড়ক আইন সংশোধন না করার প্রতিবাদে খুলনায় তৃতীয় দিনের মতো চলছে চালকদের কর্মবিরতি। দূর-দূরান্তে যাতায়াতে সাধারণ মানুষের হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এই অতিরিক্ত চাপ পোহাতে হচ্ছে রেলকে। গতদিনের মত আজও খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। যাত্রী সামলাতে হিমশিম রেল স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও।
বুধবার খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়ক পথে চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেকে অপেক্ষা করছেন। সিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনেই মাত্রাতিরিক্ত ভিড়। গত দুই দিনে এমন পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
সকালে বাস ছাড়বে এমন খবরে সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল, রয়্যাল ও শিববাড়ির মোড়ে শত শত যাত্রীরা দূর-দূরান্তে যাত্রার উদ্দেশ্যে আসলেও বাস না ছাড়ায় যাত্রা ভঙ্গ হচ্ছে। অধিকাংশ বাস কাউন্ডার বন্ধ রয়েছে।
পরিবহণ মালিক-শ্রমিক নেতাদের সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরও কেন বাস চলছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বুধবার সকালে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, চালকরা কেউ গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না। ভোর সাড়ে ৬টায় সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে এসে চালকদের গাড়ি চালাতে অনুরোধ করলেও তারা তাতে রাজি হচ্ছেন না। চালকরা বলছেন, দূর্ঘটনা ঘটলে সব জরিমানা আপনি দিবেন এমন লিখিত দিলে আমরা গাড়ি চালাবো।
এদিকে খুলনা শহর থেকে দূর পাল্লার কোন বাস না ছাড়লেও রূপসা-মোংলা, রূপসা-বাগেরহাটসহ বেশ কিছু রুটে বাস চলাচল করছে। তাবে যেসব রুটে বাস চলছে না সেই রুটের যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
এই সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মাহেন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলো কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব যানে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment