রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় গ্রামপুলিশ দিয়ে বাড়ি থেকে ইউপি কার্যালয়ে ধরে এনে একই পরিবারের ৩ জন মহিলা ও ২২ মাসের এক শিশুকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যান বক্ত কবির নামের এক আওয়ামীলীগ নেতার পাওনা টাকার জের ধরে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
আহতদের রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে। উপজেলা করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন মৃত আবুল বাশারের স্ত্রী মোছাম্মদ আমিরুন্নেছা (৬২)তার বড় মেয়ে বেবী আক্তার (৩৫) নাতনি রিয়া আক্তার (১৫) ও ২২ মাসের ছোট নাতনি নুহা আক্তার।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন,ইউপি পরিষদ থেকে সিএনজি করে নুরইসলাম চৌকিদার সহ ৪ জন চৌকিদার আমিরুন্নেছার বাড়িতে আসে,এসে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে তোদেরকে না কালকে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে যেতে বলেছে।তোরা কেন জাসনাই,এটা বলেই নুর ইসলাম চৌকিদারের নেতৃত্বে ঘরে ঢুকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে টেনেহিঁচড়ে গরু চোরের মত পিটতে পিটতে পরিষদের দিকে নিয়ে যায়।সেখানে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান অকাট্য ভাষায় আমিরুন্নেছার পরিবারকে প্রচুর গালিগালাজ করে।
আরো জানা যায়,স্থানীয় আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবিরের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা সুদে ধার নেওয়া হয়। পরে ১০ হাজারের জায়গায় সুদ বাবদ আরো ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।মোট ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় শাহজাহান কবিরকে।তার পরেও আবাফ তাদেরকাছে টাকা পাবেন বলে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানান শাহজাহান কবির।চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব গ্রাম পুলিশ দিয়ে পরিষদে ডেকে নেন।এর পরে চেয়ারম্যান গালিগালাজ করেন।
আহত আমিরুন্নেছার মেয়ে বেবী আক্তার বলেন,ঘটনার সময় প্রথমে আমি ছিলাম না একটু পরে এসে দেখি আমার মাকে মারতেছে এবং টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমার বড় মেয়ে রিয়া ও ছোট মেয়ে নুহা তাদের হাতে মাইরের শিকার হয়েছে।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার মা এবং আমার মেয়েরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক বলেন, উভয়পক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ইউপি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তবে কোনো মারধর করা হয়নি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন,এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সম্পূর্ন তদন্ত করে মামলা দায়ের করেছি। গ্রাম পুলিশ নুরইসলাম সহ ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং মামলাও হয়েছে।আমি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছি।এবং আমি আশা করছি মৃত বাশারের স্ত্রী আমিরুন্নেছা এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচার পাবেন।
No comments:
Post a Comment